নতুন বিপদে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা!

মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এতে গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বৈধতা পাওয়ার জন্য দূতাবাসে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেও না পাওয়ার অভিযোগ তাদের। এদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে মালয়েশিয়ার কাস্টমস বিভাগকে দুষছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিসহ অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বৈধতার সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হওয়া রি-হায়ারিং প্রকল্পের আওতায় একাধিকবার সময় বাড়ানো হলেও পাসপোর্ট বিড়ম্বনা, দালালদের দৌরাত্ম এবং নানামুখী সমস্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখনো বৈধতা পায় নি। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে বৈধতা লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দালাল চক্র অবৈধ কর্মীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৬ থেকে ৮ হাজার রিঙ্গিত হাতিয়ে নিলেও বৈধতার কাগজপত্র মেলেনি তাদের ভাগ্যে।

রি-হিয়ারিং পদ্ধতিতে বৈধকরণ প্রক্রিয়ার অন্যতম ধাপ হলো নিজ দেশের পাসপোর্ট নিয়ে ইমিগ্রেশন ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়া তারপর অন্যান্য প্রসেসিং শেষ হলে পাওয়া যায় বৈধতা। কিন্তু দূতাবাসে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও তা হাতে না পাওয়ার অভিযোগ প্রবাসী বাংলাদেশিদের।

এক প্রবাসী জানান, ‘আমাদের অনেক মানুষ হয়রানি হচ্ছে। যে বিষয়টা আমরা ৯-১০ মাস ধরে দেখছি, এখনও পর্যন্ত কোনো বই পাচ্ছি না।’ আরেক প্রবাসী জানান, ‘এই প্রকল্পের মধ্যে অনেক বাংলাদেশী অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ লোকের ভিসার কাজ সম্পন্ন হয়নি।’

এদিকে শ্রমিকদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। এ ঘটনায় মালয়েশিয়ার কাস্টমস বিভাগকে দুষছেন দূতাবাসের পাসপোর্ট বিভাগের কর্মকর্তা।

‘সকাল থেকে প্রায় ১১০০ পর্যন্ত স্লিপ দিয়েছি। সবগুলোই আমাদের বাংলাদেশ এম্বেসিতে পাঠানো হয়েছে। ওখান থেকে যেভাবে পাসপোর্ট আমাদের কাছে আসছে, আমরা সেভাবেই ডেলিভারি দিচ্ছি।’

রি-হিয়ারিংয়ের আওতায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ অবৈধ বাংলাদেশি নিবন্ধিত হলেও ভিসা পেয়েছেন মাত্র এক লাখ ৬৫ হাজার কর্মী এবং নিবন্ধিত প্রায় তিন লাখ ৩০ হাজার শ্রমিকের বৈধতার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগে। ওইসব কর্মীরা জটিলতা নিরসনের সুযোগ পাবেন নাকি দেশে ফিরতে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।